প্রকল্পের নামঃ ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বার্ধক্য ভাতা (IGNOAPS)
|
প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ |
১৯৯৫ সালের ১৫ই আগষ্টে চালু হওয়া গাতীয় সামাজিক সহায়তা কর্মসূচির একটি অন্যতম প্রকল্প জাতীয় বার্ধক্যভাতা প্রকল্প (NOAPS)। বর্তমানে উক্ত একই কর্মসূচি ১৯শে নভেম্বর, ২০০৭ থেকে ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বার্ধক্যভাতা প্রকল্প (IGNOAPS) হিসাবে পরিচিত। বর্তমানে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়স্ক এবং আর.এইচ.এস.-২০০৫ অনুযায়ী বি.পি.এল. তালিকাভূক্ত দরিদ্র পরিবারের কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের সহায়তা দানকারী প্রকল্প হল ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বার্ধক্যভাতা প্রকল্প। |
এই প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার মূল শর্তগুলিঃ |
১.) বর্তমানে ৬০ বছর বা তার বেশী বয়স হতে হবে। ২.) আর.এইচ.এস. ২০০৫ অনুযায়ী বি.পি.এল. তালিকাভূক্ত সদস্য বা সদস্যা হতে হবে। ৩.) অন্য কোন পেনশন প্রকল্পের সুবিধা ভোগী হওয়া চলবে না। |
এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তার পরিমানঃ |
যে সমস্ত উপভোক্তার বয়স ৬০ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে সেই সমস্ত উপভোক্তা এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তার পরিমান উপভোক্তাপিছু মাসিক ৪০০ টাকা এবং যে সমস্ত উপভোক্তার বয়স ৮০ বছর বা তার বেশী সেই সমস্ত উপভোক্তা এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তার পরিমান উপভোক্তাপিছু মাসিক ১০০০ টাকা। |
এই প্রকল্পে উপভোক্তা নির্বাচনের পদ্ধতিঃ |
আর.এইচ.এস.-২০০৫ অনুযায়ী বি.পি.এল. তালিকা এবং গ্রামীণ পরিবার সমীক্ষা সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত, গ্রাম সংসদ ভিত্তিক ৬০ বছর বা তার বেশি বয়স্ক মানুষদের নামের তালিকা তৈরী করবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুসন্ধানকারী কর্মচারী আবেদনকারীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট ছকে আবেদনপত্র ও যোগ্যতা নির্ণায়ক প্রয়োজনীয় নথি পত্রাদি সংগ্রহ করবেন। গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বিনামূল্যে এই আবেদন পত্র পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পে সাহায্য প্রাপকদের অনুমোদনকারী গ্রাম পঞ্চায়েত তথা প্রধান। গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারন সভায় এই প্রকল্পের যোগ্য উপভোক্তার সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে এমন নামের তালিকা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত বার্ধক্যভাতা প্রাপকদের তলিকা অনুমোদন করবে। |
এই প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য কোথায় আবেদন করতে হবেঃ |
আবেদনপত্র ও যোগ্যতা নির্ণায়ক প্রয়োজনীয় নথি পত্রাদি গ্রাম পঞ্চায়েতে জমা দিতে হবে। |
আবেদন পত্রের সাথে কী কী কাগজপত্র জমাদিতে হবেঃ |
১.) বি পি এল তালিকাভূক্ত পরিবারের সদস্য বা সদস্যা তার প্রমান পত্র, যেটা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পাওয়া যাবে (ফর্ম-১)। ২.) বয়সের প্রমানপত্র হিসাবে জন্ম সার্টিফিকেট / ইস্কুল সার্টিফিকেট / কোষ্ঠী বা ঠিকুজি/গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সার্টিফিকেট / ভোটের পরিচয় পত্রের জেরক্স। ৩.) অন্য দপ্তরের অন্য কোন সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের সহায়তা পাচ্ছেন না তার প্রমান পত্র, যেটা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পাওয়া যাবে (ফর্ম-১ এ উল্লেখ্য)। ৪.) ব্যাঙ্ক বা পোষ্ট অফিসের একাউন্টের জেরক্স। ৫.) একটি পাশপোর্ট সাইজ ছবি। |
এই বিষয়ে আরো বিশদ জানার জন্য কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবেঃ |
|
আবেদনপত্র পাওয়ার জন্য ক্লিক করুনঃ |
*** আবেদনপত্র পেতে ক্লিক করুন *** |
বিঃদ্রঃ - |
বর্তমানে গ্রামীন পরিবার সমীক্ষা ২০০৫ -এর ভিত্তিতে উপভোক্তা চিহ্নিত করা হয়। |